সিসি নিউজ।। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সেবা দিতে চায়। নতুন এই রেলসেবার মাধ্যমে ভৌগলিক ও বাণিজ্যিকভাবে সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলের সাথে রাজধানীর যোগাযোগের পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উত্তরাঞ্চলের শেষ সীমান্ত এলাকা নীলফামারীর চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে আন্তনগর চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
আজ রবিবার (৪ জুন) সকাল ১১টা ১ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাঁশি বাজিয়ে ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। তবে আজ ট্রেনটির উদ্ধোধন হলেও এর বানিজ্যিক যাত্রা আগামী ৭ জুন হতে কার্যকর হবে। ট্রেনটির টিকেট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে রেল ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলো। আধুনিক ও গতিশীল রেলসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা আলাদা করে রেল মন্ত্রণালয় করেছি যাতে মানুষ আরও বেশি সুবিধা পায়।
ট্রেনটির উদ্বোধনের জন্য চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, রেলমন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য সাবেক মন্ত্রী নীলফামারী-২ সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নুর, নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জ এর ডিআইজি আলিম মাহমুদ, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ,জেলা আওয়ামী লীগেরসাধারন সম্পাদক মমতাজুল হক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (কল্যাণ ও পুনর্বাসন) ফারহানা আকতার সুমি প্রমুখ।
গনভবন প্রান্তে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মোঃ হুমায়ুন কবীর স্বাগত বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে রেল খাতের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা- কক্সবাজার ও পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা ভাঙ্গা ট্রেন চলাচল শুরু হবে। পাশাপাশি আগামী জুলাই মাসে মোংলা বন্দরের সাথে খুলনা ও আখাউড়া – আগরতলার সাথে রেললাইন সংযোগ চালু হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সপ্তাহে শনিবার ছাড়া ছয়দিন চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামের (৮০৬/৮০৫) এক জোড়া ট্রেন চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চলাচল করবে। এর মধ্যে যাত্রাপথে ১২টি ষ্টেশন ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, নাটোর, ঈশ্বরদী বাইপাস, জয়দেবপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি থাকবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, ৫২৬ কিলেমিটার রেলপথে ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায়, ঢাকায় পৌঁছবে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে এবং ঢাকা থেকে বিকাল ৫টায় ছেড়ে চিলাহাটি পৌঁছবে ভোর ৩টায়। চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন (৮০৬/৮০৫) শনিবার। রেলওয়ের সুত্রমতে, ট্রেনটিতে ১১টি বগিতে ৭৯২টি সিট থাকবে। এরমধ্যে দুটি এসি চেয়ার কোচে ১৬০টি সিট, একটি প্রথম শ্রেনীর এসি কোচে ৪৮টি সিট ও ৮টি ননএসি শোভন চেয়ার কোচে ৫৮৪টি সিট রয়েছে।