• শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১১ অপরাহ্ন |
শিরোনাম :
সৈয়দপুরে প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার করায় আটক-৩ নীলফামারীতে গণজাগরণের সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কুয়াশা কেটে যাওয়ায় সাড়ে ৬ ঘন্টা পর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক ঘন কুয়াশার কারনে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা ব্যাহত সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেলেন মসিউর রহমান খানসামা উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল পাচ্ছে ২৩ হাজার শিশু প্রধানমন্ত্রী নিজের নির্বাচনী এলাকা যাচ্ছেন আগামীকাল বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এর নির্বাহী সদস্য হলেন ডোমারের আনোয়ার হোসেন কাভার্ড ভ্যানে আগুন: ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

শ্বেতপাথরে সাজানো শেখ জাইদ মসজিদ

sk jaedসিসি ডেস্ক: শ্বেতপাথর দিয়ে সাজানো শেখ জাইদ গ্র্যান্ড মসজিদ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ। অবস্থান রাজধানী আবুধাবিতে। মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০০৭ সালের রমজান মাসে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশটির মানুষের মূল্যবোধ ও আবেগকে সম্মান জানাতে।
এখানে একসাথে নামাজ আদায় পারেন প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি। মূল ঘরে নামাজ আদায় করতে পারেন ১০ হাজার। নারীদের জন্য রয়েছে দুটি পৃথক কক্ষ। যেখানে প্রতিটিতে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন দেড় হাজার মুসল্লি।
মসজিদটির নাম দেয়া হয়েছে জাইদ বিন সুলতান আন নাহিয়ানের নামে। আরব আমিরাতের ৩৩ বছরের শাসক ছিলেন তিনি। তিনিই মসজিদটির নামফলক স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু উদ্বোধন করতে পারেননি। এর আগেই ইন্তেকাল করেছেন। এই মসজিদের পাশেই তাঁর কবর।
মসজিদের ডিজাইনে সমন্বয় করা হয়েছে আরব, মোগল ও মুরিশ নকশার। মূল মসজিদের চার কোনায় রয়েছে চারটি বড় মিনার। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা প্রায় ১১৫ মিটার। ভেতরে ও বাইরে আরো রয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের ৮২টি গম্বুজ। সবগুলো গম্বুজ সাজানো হয়েছে শ্বেতপাথর দিয়ে।
অনেক বিশ্ব রেকর্ডও রয়েছে মসজিদটির। নামাজকক্ষে বিছানো কার্পেটটি হাতে বোনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্পেট। ৪৭ টন ওজনের কার্পেটটির আয়তন পাঁচ হাজার ৬২৭ বর্গমিটার। বানিয়েছেন ২০ জন টেকনিশিয়ান, ৩০ জন কর্মচারী আর এক হাজার ২০০ কারিগর মিলে। বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ২০ মাস। এর মধ্যে ১২ মাস লেগেছে সেলাই করতে আর আট মাস লেগেছে ডিজাইনে। ডিজাইন করেছেন ইরানের বিখ্যাত ডিজাইনার আলী খালিকী। কার্পেটটির ৭০ শতাংশ উল আর ৩০ শতাংশ সুতা দিয়ে তৈরি।
আলোকসজ্জার জন্য জার্মান থেকে আনা হয়েছে বৃহত্তম ঝাড়বাতি। যার ওজন প্রায় ১২ টন। আরো ছয়টি ঝাড়বাতি রয়েছে ভেতরে। সবগুলোই সাজানো হয়েছে কপার ও স্বর্ণের প্রলেপ এবং লক্ষাধিক ক্রিস্টাল দিয়ে। রাতে মসজিদটির বাইরের দেয়াল ঘিরে বিচ্ছুরিত হয় নীলাভ-ঘিয়ে আলো। চাঁদের আলোর সাথে যে আলো পরিবর্তিত হয়।
৩৮ জন ঠিকাদার এবং দেশ ও বিদেশের সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করেছেন মসজিদটি নির্মাণে। নির্মাণসমাগ্রী আনা হয়েছে গ্রিস, ইতালি, জার্মানি, চীন, অস্ট্রিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ড থেকে। এটি মূলত বিশ্বখ্যাত হয়েছে বিভিন্ন ইসলামিক স্থাপত্যশৈলী ও ধবধবে সাদা রঙের জন্য।
মসজিদটি একটি আধুনিক শিক্ষা কেন্দ্র আবার ভ্রমণপিয়াষীদের জন্য চমকপ্রদ বিনোদনকেন্দ্রও। ইচ্ছে হলে আপনিও যেতে পারেন সপরিবারে অথবা সবান্ধব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ