ঢাকা: অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে দ্রুত উত্তোরণ করা সম্ভব জানিয়ে এ সংলাপের জন্য দেশের রাজনৈতিক দলসহ সব ধরনের সংগঠনকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, “গণতন্ত্র বলতে একজন ব্যক্তি বা দলকে বুঝায় না। সীমাহীন লোভী গোষ্ঠী পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দেশে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। কিন্তু পেশী শক্তি দিয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে না। তাই শাসন ব্যবস্থাকে জনগণের নিয়ন্ত্রণে আনার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। আর মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।”
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘৫ জানুয়ারি এবং অতঃপর’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল বলেন, “নতুন বছর শুরু হয়েছে এক অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে কিন্তু কেন? সিংহাসন দখল করে আর উত্তরাধিকার বলে দেশের মালিক হওয়া যায় না। এ সরকার যুদ্ধ করছে জনগণের বিরুদ্ধে। গণতন্ত্রকে অপব্যাখ্যা করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা হয়েছে।”
জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দলের (জেএসডি) সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তাকে রাজাকার ও জঙ্গি আখ্যা দিয়ে দেয়। এমনকি যে সবচেয়ে বড় বাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল সেই কাদের সিদ্দিকীকেও রাজাকার বলতে ছাড় দেয়নি। এ সরকারের এক বছরে শতশত মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এমন নরখাদকদের হাতে পরতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি।”
নাগরিক ঐক্য আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রশ্ন তুলে বলেন, “আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান রক্ষার জন্য তারা ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেছে নইলে সামরিক শাসন আসতে পারতো। তাহলে আজ সারাদেশে যে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার থেকে কি সেই শাসনই ভালো ছিল না?”
‘খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়নি’ প্রধানমন্ত্রীর (গতকালের) এমন কথার প্রেক্ষিতিতে মান্না বলেন, “আজ তার (খালেদা) বাসায় তালা দেয়া হয়েছে। তাহলে উনি (হাসিনা) মিথ্যাচার ও নাটক করছেন।”
সভায় মান্নার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ।
নতুন বার্তা