সিসি নিউজ।। নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের লুপ লাইনে ভারতীয় পাথরবাহী ট্রেনের ৫টি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেনটি সৈয়দপুরে পাথর খালাস শেষে ভারতে ফিরে যাচ্ছিল। অথচ ওই লুপ লাইনটি ওয়াগন প্রবেশের অনুপযোগী হিসেবে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ ইতিপূর্বে ঘোষণা দিয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি প্রদান করেছিল। এদিকে লাইনচ্যুতির ১৬ ঘন্টা পর আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পার্বতীপুর থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
স্টেশন সূত্র মতে, গত রোববার হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে ভারত থেকে আমদানি করা পাথর নিয়ে ওই ট্রেন আসে সৈয়দপুরে। এখানে পাথর খালাস শেষে বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে ভারতে ফিরছিল। এ সময় স্টেশনের ৫ নম্বর লুপ লাইনে ট্রেনটির পাঁচটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। ঘটনার প্রায় ১৬ ঘন্টা পরে পার্বতীপুরের লোকোশেড হতে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত ৯টার দিকে দুটি লাইনচ্যুত ওয়াগন উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্টেশন মাস্টার নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা এই পথে পাথর আমদানি করছেন। পাথরের ওয়াগনগুলো নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে এনে তা আনলোড করা হয়। কিন্তু অপরিকল্পিত ভাবে ও অদক্ষ শ্রমিকের মাধ্যমে দিন-রাত পাথর আনলোড করায় রেললাইনের (ট্রাক) ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাথরগুলো রেলপথের ওপর ফেলে দেওয়ার পর আমদানিকারকেরা ভেকু মেশিন দিয়ে তা পণ্যবাহী ট্রাকে লোড করছেন। এতে রেলপথের দুপাশের মাটিসহ কাঠের স্লিপার ও রেল পাতের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন হয়েছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ সহপ্রকৌশলী সুলতান মৃধা জানান, স্টেশনের ৫ নম্বর লুপ লাইনটি পাথর আনলোড ও ভেকু ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও পাথর আনলোডে ভেকু ব্যবহার করায় লুপ লাইনের কাঠের স্লিপার ভেঙ্গে গেছে। এতে লুপ লাইনটিতে ওয়াগন প্রবেশের অনুপযোগী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্তচিঠি দিয়ে সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টারকে অবগত করা হলেও তিনি ঝুঁকি নিয়ে পাথরের ওয়াগন ওই লুপ লাইনে প্রবেশ করাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে দুটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাকি তিনটি ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়ায় এ স্টেশনের লুপ লাইনগুলো চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। খুব শিগগির লাইনগুলোর সংস্কারকাজ শুরু হবে। তবে সদ্য এ স্টেশনের মাস্টার পদে যোগদান করায় প্রকৌশল বিভাগের দেয়া চিঠি সম্পর্কে তিনি অবগত নন।